এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কেননা টাইগারদের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার সবশেষ দুই সিরিজে দলের সঙ্গে নেই। তবে নির্বাচক প্যানেল থেকে বলা হয়েছে বিশ্রামে রাখা হয়েছে রিয়াদকে। চলতি বছরই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপ দলে রিয়াদ থাকবেন কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে।
এদিকে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ইংল্যান্ডে। সেখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আজ রবিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। এ সময় তামিম স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন রিয়াদ অবশ্যই থাকছেন বিশ্বকাপের বিবেচনায়।
তামিম বলছিলেন, ‘আমি এটা নিয়ে অনেক কথা শুনছি যে এটা কী হচ্ছে না হচ্ছে (রিয়াদের বিশ্বকাপ দলে থাকা)। কিন্তু তিনি অবশ্যই অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনা আছেন। উনি না, এই মুহূর্তে যে দলে নেই, কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে ভালো করছে; আমরা ওদের নিয়েও কথাবার্তা বলছি। যেটা আমি বললাম, দলের জন্য ভালো যেটা হবে, সেটাই করা হবে।’
এশিয়া কাপের দল দিলেই সব নিশ্চিত হয়ে যাবে বলছেন তামিম, ‘একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন যখন আমরা এশিয়া কাপ খেলবো। ওখানে যে স্কোয়াডটা আমরা করবো, বলতে গেলে সেটাই হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড। যদি কেউ চরমভাবে ব্যর্থ হয় অথবা ইনজুরিতে না পড়ে। তাছাড়া আমার মনে হয় না ওরকম কোনো পার্থক্য হবে। এই সিরিজ, হয়তো এরপরের সিরিজগুলোকেই আমরা মূলত টার্গেট করছি।’
আরেক বাদ পড়া ক্রিকেটার আফিফ হোসেনের প্রসঙ্গ টেনে রিয়াদ বলছিলেন, ‘শেষ সিরিজেও দেখেন, কিছু ব্যাটিং অর্ডার বদলেছি, কয়েকজনকে ওপরে ব্যাটিং করিয়েছি। আফিফের কথাও যদি বলি, আমার মনে হয় তারও একই সুযোগ আছে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের মতো। সে ভালোও করছে। হয়তো দু-একটা সিরিজ যে কোনো মানুষেরই খারাপ যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় রিয়াদ-আফিফ আমাদের হিসাবে আছে।’
তবে কদিন আগে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ দলে রিয়াদকে দেখেন না তিনি। তার মতে, যদি বিশ্বকাপ দলেই রিয়াদ থাকত তাহলে এই সিরিজগুলোতে তাকে দেখা যেত।